ব্রণ থেকে বাঁচা
আয়নায় নিজের সুন্দর মুখ দেখতে কে না ভালোবাসে। আর সে মুখ যদি হয় ব্রণমুক্ত, তবে তো কথাই নেই। ব্রণের বিড়ম্বনায় পড়েননি এমন নারী কমই আছেন। বিশেষ করে তরুণীরা ব্রণের উৎপাতে বেশি ভোগেন।ব্রণ কেন হয়
বিভিন্ন কারণে ব্রণ হতে পারে। এর মধ্যে আছে :
* হরমনের পরিবর্তন
* ত্বকে ধুলোময়লা জমে থাকা
* বংশগত কারণ
* ত্বকে ভিটামিনের অভাব
* কোষ্ঠকাঠিন্য
ব্রণ থেকে বাঁচা
আসুন জেনে নিই সহজ কিছু নিয়ম, যা মেনে চললে খুব সহজেই ব্রণ আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে :
* সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখুন।
* বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ঠা-া পানির ঝাপটা দিন।
* দিনে কমপে দু বার গোসল করুন।
* প্রতিদিন অন্তত তিন-চার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। ব্রণের উৎপাত অনেকটা কমে যাবে।
* মুখে সাবান ব্যবহার না করে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন
* ত্বকে নিয়মিত ময়দা, দুধ ও মধুর পেস্ট লাগান, ব্রণের দাগ চলে যাবে এবং ত্বক উজ্বল হবে।
* মুখে ব্রণ দেখা দিলে তা নখ দিয়ে খোঁটাখুঁটি করা একদম ঠিক না। এতে ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হয়ে যাবে ।
ত্বক সুন্দর রাখতে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকাও জরুরি। নিচের পরামর্শগুলো আপনার কাজে লাগবে :
* তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
* বেশি করে শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
* পেট পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়।
* নিয়মিত সবুজ শাকসবজি আর টাটকা ফলমূল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
* সব থেকে প্রচুর পানি খেতে হবে।
আকর্ষণীয় ফিগার বানানোর যত উপায়
চেহারার সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য ফিগারের শেপটাও একেবারে পারফেক্ট থাকা জরুরি। আর ফিগারকে আকর্ষণীয় করতে গেলে নিয়মমাফিক চলতে হবে। বিশেষ করে ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে এক্সারসাইজও প্রতিদিন করতে হবে। চলুন কীভাবে পারফেক্ট ফিগার লাভ করা যায় সেই টিপসটা জেনে নিই। ● পারফেক্ট ফিগার পেতে গেলে প্রথমেই ডায়েট প্ল্যান তৈরি করুন। ডায়েট চার্ট মেনে প্রতিদিন খাবার গ্রহণ করুন।
● খাবার খাওয়ার আগে এক বাটি স্যুপ এবং সালাদ খান।
● যদি আপনার গভীর ঘুম না হয় তাহলে শারীরিক ক্লান্তি আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে। তাই এই শারীরিক ক্লান্তিটা দূর করার জন্য গভীরভাবে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
● খাবার খাওয়ার সময় কখনও টিভি দেখবেন না। এতে আপনার সমস্ত মনোযোগই টিভির ওপর চলে যাবে। আপনি আপনার খাওয়ার পরিমাণটা বুঝতে পারবেন না।
● বাইরের খাবার বেশি খাবেন না। পিত্জা, বার্গারের বদলে ঘরে তৈরি খাবার গ্রহণ করুন।
● যখনই খিদে পাবে তখন বেশি করে ফল এবং সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার স্বাস্থ্য তো ভালো থাকবেই, উপরন্তু আপনার চেহারার গ্ল্যামার বাড়বে।
● ওজন কমাতে গিয়ে একেবারে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেবেন না। পেট ভরে সবসময় খাবার খাবেন। এতে পেটের কোনো রোগ হবে না।
● প্রতিদিন পেট ভরে সকালের নাস্তা খাবেন। এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
● সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা হলো— প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এনার্জি বাড়বে এবং শরীরের মেদও কমবে।
ত্বকের ময়েশ্চারাইজিং
ত্বকের জাদুকাঠি ময়েশ্চারাইজার। পুরুষের রুক্ষ ত্বককে স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় উপাদান ময়েশ্চারাইজার। ক্লিনিং, সেভিংয়ের পরের ধাপটি হলো ময়েশ্চারাইজিং। ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। ঘরোয়া অনেক উপকরণ দিয়ে ময়েশ্চারাইজিং করা যায়।শুষ্ক ত্বক
হত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে প্রতিদিন বিকেলে অলিভ অয়েল বা ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল লাগাতে পারেন।
হঅলিভ অয়েল, লেবুর রস, ডিম ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঈষদুষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
হভিটামিন ও ফ্যাটসমৃদ্ধ নারিকেল তেল ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে। নারিকেল তেলের সঙ্গে কোকোয়া বাটার মিশিয়ে লাগান। এই ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত ত্বক
হতৈলাক্ত ত্বকের জন্যে টমেটোর রস ভালো ময়েশ্চারাইজার। মুখে টমেটোর রস কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্তভাব কমবে।
হগোলাপ জলের সঙ্গে সামান্য চন্দনগুঁড়া মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। গোসলের পরে লাগান।
হপাকা পেঁপে ম্যাশ করে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন।
স্বাভাবিক ত্বক
হ৫-৬ ফোঁটা আমন্ড অয়েল, পানি ভালো করে মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন।
হম্যাসাজ ক্রিম ও অরেঞ্জ জুস মিশিয়ে গোসলের আগে ত্বকে লাগান। ত্বক মসৃণ ও নরম হবে।
হভিনেগার, তেল, মধু মিশিয়ে গোসলের পর ম্যাসাজ করুন।
হতরমুজের ফালির ওপর লেবুর রস দিয়ে ফ্রিজে ২০ মিনিট রেখে ছোট ছোট পিস করে ত্বকে ঘষুন। ত্বক সতেজ হবে এবং বলিরেখা পড়বে না।